আমরা সবাই সারাদিন নিজেদেরকে বিভিন্ন কাজের মাঝে ব্যস্ত রাখি। আমাদের প্রত্যেকটা দিন শুরু হয় একেকটা ব্যস্ততা দিয়ে। আবার ব্যস্ততার মাঝেই দিনগুলো শেষ হয়ে যায়। সারাদিন অফিসের কাজের চাপ, সংসারের নানান চিন্তা ইত্যাদিতে আমরা হয়তো সময়ই পাইনা নিজেদেরকে দেওয়ার মতো যার ফলে আমাদের দিনগুলো আস্তে আস্তে বিরক্তি আর একঘেয়েমিতে ভরে যায়। সবমিলিয়ে আমাদের দিনশেষে আনন্দের মাত্রা অতি সীমিত। দিনশেষেও আমরা শান্তিমতো নিজেকে উপভোগ করতে পারি না। পারি না আমরা নিজেদেরকে একটু ফুরফুরে রাখতে। কিন্তু আমরা চাইলেই পারি, নিজেদের প্রত্যেকটা দিনকে ফুরফুরে সজীব রাখতে।
শুরুটা কিভাবে করবেন?
আমাদের সারাটাদিন সুন্দর ভাবে কাটাতে হলে, দিনের শুরুটা সুন্দরভাবে করা চাই। সুন্দর, স্নিগ্ধ ও ঝলমলে সকাল দিয়ে আমাদের দিনের শুরুটা করতে পারি তাহলে ১০০% গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি, আপনার দিন সুন্দর যাবে। আমাদের অনেকের একটা বাজে অভ্যাস দেরি করে ঘুম থেকে ওঠা। কিন্তু এটা মোটেও স্বাস্থ্যের ও সুন্দর মনের অনুকূল নয়। আমাদের অনেকেরই এই অভ্যাসের কারণে সকালের সৌন্দর্যটা পর্যন্ত উপভোগ করতে পারি না। সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠতে পারলে সারাদিন নিজের জন্য অনেক সময় পাওয়া যায়। তো সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর কি করবেন? সবথেকে ভালো হয়, সকালে ওঠে কিছুক্ষণ হাঁটাহাটি করলে, এর সাথে হালকা ব্যায়াম করতে পারেন। এতে শরীর ও মন দুইই ভালো থাকে এবং নিজেকে অনেকটা চনমনে লাগে। সকালে উঠে হাঁটাহাঁটি করলে শরীরের ও মনের পাশাপাশি ত্বকও ভালো থাকে। দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। সকালে উঠে আপনার এই অভ্যাসটাই আপনাকে ফুরফুরে রাখতে যথেষ্ঠ। আরেকটা কাজ করতে পারেন সেটা হলো- সকালে উঠে যোগব্যায়াম করতে পারেন। মন ও শরীর কে প্রফুল্ল রাখতে সকালে উঠে যোগব্যায়ামের জুড়ি নেই। এটি আপনার দেহ ও মন সুস্থ ও সুন্দর রাখবে। চেহারার গঠন ঠিক রাখবে ও আপনাকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলবে।
সকালে উঠে খালি পেটে একগ্লাস পানি পান করা উচিত। এতে শরীর টা তরতাজা হয়ে উঠবে। সকালের স্নিগ্ধ আলো উপভোগ করুন। সকালের প্রাকৃতিক আলো আমাদের শরীর ও মন দুইই ভালো রাখে। এর সাথে সাথে মনে মনে নিজের সারাদিনের কাজের একটা ছক কষে ফেলুন। এরপর সকালে কাজে বের হওয়ার আগে গোসল করে বের হোন। সকালে গোসল করলে যেকোনো কাজে ভালো মন বসে এবং কাজে বিরক্তি কম আসে। সকালে গোসল করলে শরীরের রক্ত চলাচল স্বাভাবিক থাকে এবং মনের ভিতরের বিষন্ন ভাব দূর হয়। এরপর সকালের নাস্তা করে নেবেন। চেষ্টা করবেন সকালের নাস্তায় ভালো কিছু রাখতে। কারণ দিনের শুরুটা ভালো কিছু দিয়ে শুরু করতে পারলে সারাদিনই ভালো কাটে। আর ভালো খাবার খেলে মনও ভালো থাকে। সকালে নাস্তার সাথে এক কাপ গরম চা রাখবেন। কারণ শরীর ও মনকে চাঙ্গা রাখতে চায়ের কোনো বিকল্প নেই।
কর্মক্ষেত্রে নিজেকে বিরক্তি থেকে নিজেকে সামলে রাখুন -
কর্মক্ষেত্রে হাজারটা ঝামেলার মাঝে নিজেকে সামলে রাখা খুবই কঠিন একটা কাজ। অল্পতেই হয়তো বিরক্তি আসতে পারে। বসের দেওয়া উদ্ভট উপদেশ, কলিগের সাথে বনিবনা না হওয়া ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে আমাদের মনে বিরক্তি আসতেই পারে। সহকর্মীদের কিছু কিছু কথা ও ব্যবহার মনকে বিষিয়ে তুলতে পারে। কিন্তু এসবে রেগে গেলে চলবে না, কারণ অফিস সুন্দর পরিবেশ বজায় রাখতে আপনার নিজের ভিতরে তৈরি হওয়া এই বিরক্তি ও রাগকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। কারো কথা ভালো না লাগলেও সেটা প্রকাশ করা যাবে না। মাঝে মাঝে ভালো না লাগলেও অনেক কিছু ছাড় দিয়ে দিতে হয়। তবে যদি মেজাজ অনেক বেশিই খারাপ হয়ে যায় তবে কিছুক্ষণ কাজে বিরতি দিন। কয়েক মিনিট হাঁটাহাঁটি করুন। এতে মন আবার ভালো হয়ে উঠবে আর বিরক্তি গুলো দূর হবে। অফিসে যদি কোনো কারণে কারো সাথে বাজে ব্যবহার করে ফেলেন তাহলে মেজাজ শান্ত হওয়া মাত্র তাকে "Sorry" বলুন। এতে নিজের মনটা হালকা হবে। অনেক্ষণ কাজ করে ক্লান্ত হয়ে গেলে কিছুক্ষণ আরাম করে বিশ্রাম করতে পারেন, এবং সাথে মৃদুশব্দে নিজের প্রিয় কোনো গান শুনতে পারেন। এতে একঘেয়েমি, ক্লান্তি আর বিরক্তি দূর হবে।
শুরুটা কিভাবে করবেন?
আমাদের সারাটাদিন সুন্দর ভাবে কাটাতে হলে, দিনের শুরুটা সুন্দরভাবে করা চাই। সুন্দর, স্নিগ্ধ ও ঝলমলে সকাল দিয়ে আমাদের দিনের শুরুটা করতে পারি তাহলে ১০০% গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি, আপনার দিন সুন্দর যাবে। আমাদের অনেকের একটা বাজে অভ্যাস দেরি করে ঘুম থেকে ওঠা। কিন্তু এটা মোটেও স্বাস্থ্যের ও সুন্দর মনের অনুকূল নয়। আমাদের অনেকেরই এই অভ্যাসের কারণে সকালের সৌন্দর্যটা পর্যন্ত উপভোগ করতে পারি না। সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠতে পারলে সারাদিন নিজের জন্য অনেক সময় পাওয়া যায়। তো সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর কি করবেন? সবথেকে ভালো হয়, সকালে ওঠে কিছুক্ষণ হাঁটাহাটি করলে, এর সাথে হালকা ব্যায়াম করতে পারেন। এতে শরীর ও মন দুইই ভালো থাকে এবং নিজেকে অনেকটা চনমনে লাগে। সকালে উঠে হাঁটাহাঁটি করলে শরীরের ও মনের পাশাপাশি ত্বকও ভালো থাকে। দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। সকালে উঠে আপনার এই অভ্যাসটাই আপনাকে ফুরফুরে রাখতে যথেষ্ঠ। আরেকটা কাজ করতে পারেন সেটা হলো- সকালে উঠে যোগব্যায়াম করতে পারেন। মন ও শরীর কে প্রফুল্ল রাখতে সকালে উঠে যোগব্যায়ামের জুড়ি নেই। এটি আপনার দেহ ও মন সুস্থ ও সুন্দর রাখবে। চেহারার গঠন ঠিক রাখবে ও আপনাকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলবে।
সকালে উঠে খালি পেটে একগ্লাস পানি পান করা উচিত। এতে শরীর টা তরতাজা হয়ে উঠবে। সকালের স্নিগ্ধ আলো উপভোগ করুন। সকালের প্রাকৃতিক আলো আমাদের শরীর ও মন দুইই ভালো রাখে। এর সাথে সাথে মনে মনে নিজের সারাদিনের কাজের একটা ছক কষে ফেলুন। এরপর সকালে কাজে বের হওয়ার আগে গোসল করে বের হোন। সকালে গোসল করলে যেকোনো কাজে ভালো মন বসে এবং কাজে বিরক্তি কম আসে। সকালে গোসল করলে শরীরের রক্ত চলাচল স্বাভাবিক থাকে এবং মনের ভিতরের বিষন্ন ভাব দূর হয়। এরপর সকালের নাস্তা করে নেবেন। চেষ্টা করবেন সকালের নাস্তায় ভালো কিছু রাখতে। কারণ দিনের শুরুটা ভালো কিছু দিয়ে শুরু করতে পারলে সারাদিনই ভালো কাটে। আর ভালো খাবার খেলে মনও ভালো থাকে। সকালে নাস্তার সাথে এক কাপ গরম চা রাখবেন। কারণ শরীর ও মনকে চাঙ্গা রাখতে চায়ের কোনো বিকল্প নেই।
কর্মক্ষেত্রে নিজেকে বিরক্তি থেকে নিজেকে সামলে রাখুন -
কর্মক্ষেত্রে হাজারটা ঝামেলার মাঝে নিজেকে সামলে রাখা খুবই কঠিন একটা কাজ। অল্পতেই হয়তো বিরক্তি আসতে পারে। বসের দেওয়া উদ্ভট উপদেশ, কলিগের সাথে বনিবনা না হওয়া ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে আমাদের মনে বিরক্তি আসতেই পারে। সহকর্মীদের কিছু কিছু কথা ও ব্যবহার মনকে বিষিয়ে তুলতে পারে। কিন্তু এসবে রেগে গেলে চলবে না, কারণ অফিস সুন্দর পরিবেশ বজায় রাখতে আপনার নিজের ভিতরে তৈরি হওয়া এই বিরক্তি ও রাগকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। কারো কথা ভালো না লাগলেও সেটা প্রকাশ করা যাবে না। মাঝে মাঝে ভালো না লাগলেও অনেক কিছু ছাড় দিয়ে দিতে হয়। তবে যদি মেজাজ অনেক বেশিই খারাপ হয়ে যায় তবে কিছুক্ষণ কাজে বিরতি দিন। কয়েক মিনিট হাঁটাহাঁটি করুন। এতে মন আবার ভালো হয়ে উঠবে আর বিরক্তি গুলো দূর হবে। অফিসে যদি কোনো কারণে কারো সাথে বাজে ব্যবহার করে ফেলেন তাহলে মেজাজ শান্ত হওয়া মাত্র তাকে "Sorry" বলুন। এতে নিজের মনটা হালকা হবে। অনেক্ষণ কাজ করে ক্লান্ত হয়ে গেলে কিছুক্ষণ আরাম করে বিশ্রাম করতে পারেন, এবং সাথে মৃদুশব্দে নিজের প্রিয় কোনো গান শুনতে পারেন। এতে একঘেয়েমি, ক্লান্তি আর বিরক্তি দূর হবে।
দিনের শেষে কি করবেন?
সারাদিনের কাজের শেষে বাড়িতে ফেরার পরপরই ক্লান্তি আর অবসাদ শরীরে ও মনে ঘিরে ধরে। তাই বাড়ি ফিরে একটু বেশি সময় নিয়ে গোসল করে নিন। এরপর গরম গরম এককাপ চা খান। এতে করে আপনার শরীর ও মনের ক্লান্তি দূর হবে। আমাদের প্রত্যেকের উচিত সারাদিনের এই ব্যস্ততম দিন পার করার পর, নিজেকে ও নিজের পরিবারকে কিছুটা সময় দেওয়া। নিজের পরিবারকে সময় দেওয়ার ফলে আপনার পরিবারের সাথে আপনার সুসম্পর্ক টিকে থাকবে, আর নিজেকে Explore করতে নিজের জন্যও কিছুটা সময় রেখে দিন। এই সময়টাতে আপনি যা খুশি তাই করতে পারেন। হতে পারে সেটা আপনার শখের কোনো কাজ, সেটা বই পড়াও হতে পারে, গান শোনাও হতে পারে। গান হলো এমন একটা জিনিস যা আপনার যেকোনো পরিস্থিতেই মন ভালো করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। তাই পছন্দের গান শুনতে পারেন, হতে পারে সেটা রবীন্দ্র সঙ্গীত বা অন্য যেকোনো ধরণের গান যা আপনার পছন্দ। এসময় আপনার পছন্দের কোনো কাজ করতে পারেন অথবা নিজের পরিচিত বন্ধুবান্ধব বা আত্মীয় স্বজনদের খোঁজখবর নিতে পারেন। এতে করে আপনার সবার সাথে সুসম্পর্ক বজায় থাকবে। আর রাতে ঘুমানোর আগে অন্তত ১০ মিনিট মেডিটেশন করুন। কারণ মেডিটেশন আমাদের মন ও চিন্তাশক্তিকে উন্নত করে তোলে। এতে আপনার নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস অনেক দৃঢ় হবে।
আর সবশেষে একটাই কথা বলবো, সেটা হলো - পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ুন। আর যদি আপনি অন্য কোনো ধর্মের হয়ে থাকেন তাহলে বলবো, সবসময় মনে মনে ঈশ্বরকে স্মরণ করুন আর মন থেকে তার কাছে প্রার্থনা করুন। কারণ প্রার্থনা বা নামাজই আপনাকে সবসময় ফুরফুরে ও মনকে শান্ত রাখতে পারে।
সারাদিনের কাজের শেষে বাড়িতে ফেরার পরপরই ক্লান্তি আর অবসাদ শরীরে ও মনে ঘিরে ধরে। তাই বাড়ি ফিরে একটু বেশি সময় নিয়ে গোসল করে নিন। এরপর গরম গরম এককাপ চা খান। এতে করে আপনার শরীর ও মনের ক্লান্তি দূর হবে। আমাদের প্রত্যেকের উচিত সারাদিনের এই ব্যস্ততম দিন পার করার পর, নিজেকে ও নিজের পরিবারকে কিছুটা সময় দেওয়া। নিজের পরিবারকে সময় দেওয়ার ফলে আপনার পরিবারের সাথে আপনার সুসম্পর্ক টিকে থাকবে, আর নিজেকে Explore করতে নিজের জন্যও কিছুটা সময় রেখে দিন। এই সময়টাতে আপনি যা খুশি তাই করতে পারেন। হতে পারে সেটা আপনার শখের কোনো কাজ, সেটা বই পড়াও হতে পারে, গান শোনাও হতে পারে। গান হলো এমন একটা জিনিস যা আপনার যেকোনো পরিস্থিতেই মন ভালো করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। তাই পছন্দের গান শুনতে পারেন, হতে পারে সেটা রবীন্দ্র সঙ্গীত বা অন্য যেকোনো ধরণের গান যা আপনার পছন্দ। এসময় আপনার পছন্দের কোনো কাজ করতে পারেন অথবা নিজের পরিচিত বন্ধুবান্ধব বা আত্মীয় স্বজনদের খোঁজখবর নিতে পারেন। এতে করে আপনার সবার সাথে সুসম্পর্ক বজায় থাকবে। আর রাতে ঘুমানোর আগে অন্তত ১০ মিনিট মেডিটেশন করুন। কারণ মেডিটেশন আমাদের মন ও চিন্তাশক্তিকে উন্নত করে তোলে। এতে আপনার নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস অনেক দৃঢ় হবে।
আর সবশেষে একটাই কথা বলবো, সেটা হলো - পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ুন। আর যদি আপনি অন্য কোনো ধর্মের হয়ে থাকেন তাহলে বলবো, সবসময় মনে মনে ঈশ্বরকে স্মরণ করুন আর মন থেকে তার কাছে প্রার্থনা করুন। কারণ প্রার্থনা বা নামাজই আপনাকে সবসময় ফুরফুরে ও মনকে শান্ত রাখতে পারে।





0 Comments